1)"ভিড়ের ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফল"--যাতায়াতের সম্বন্ধে যা জানো আলোচনা করো?
অথবা
"কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে।
আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷
ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছোটো সাজিয়ে রেখেছিলেন|ভিড়ে ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফলে মহিলারা যাত্রী থেকে নামছেন মহিলাদের মাথায় খোঁপাতেও কলম গুজে রাখতে দেখা গিয়েছিল।'বিস্ফোরণ!কলম বিস্ফোরণ।'কলম একসময় সর্বভোগ্য এবং সার্বজনীন হয়ে উঠেছিল|সত্যি বলতে কলম এখন এতই সস্তা সর্বভোগ্য হয়ে গিয়েছে পকেটমারেরাও এখন আর কলম নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না।লেখক এখন কলমকেই অস্পৃশ্য বলে মনে করেছে|
2)আশ্চর্য সবাই আজ অবলুপ্তির পথে|"--লেখকের আশ্চর্য হওয়ার কারণ কি বুঝিয়ে দাও?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম রচনা লেখ নিখিল সরকার আধুনিককালের কাল প্রবাহের কারণে কলম কিভাবে অগ্রগতি হতে চলেছে সে বিষয়ে লেখক বিশ্ময়
প্রকাশ করেছে|
শৈশবকাল থেকেই লেখক শিক্ষাজীবনে গভীর সূচনা লাভ করেছিলেন বাঁশের কলম,লেখার জন্য কলাপাতা আর হাতের বানানো কালি ছিল৷কিন্তু সভ্যতা পরিবর্তনের ফলে খাগের কলম,কলাপাতা,পালকের কলম, দোয়াত কালি ইত্যাদি সরিয়ে বাজারে চলে আসে ফাউন্টেন পেন৷কলমের বাজারে এই পেন আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে৷ফাউন্টেন পেনকেও সরিয়ে দিয়ে বাজারে আসতে চলেছে বল পেন|কলমের দাম এখন সস্তা এবং এতই সর্বভোগ্য হয়ে গেছে কলম সার্বজনীন হওয়ার ফলে তার নিজস্ব কদর হারাতে চলেছে৷একদিন যে দোয়াত কলম দিয়ে লিখে দেশ-বিদেশের সাহিত্যিকরা অমর সৃষ্টি রেখে দিয়ে চলে গিয়েছেন,সেই দোয়াতের কলম আজকাল ইতিহাসের পাতা থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য চলে গিয়েছে,বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সৃষ্টির জায়গা দখল করে নিয়েছে কম্পিউটার তাদের জাদুঘরের পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন৷বাঁশের কলম,খাগের কলম ছেড়ে আধুনিক বল পেনের হাতে আত্মসমর্পণ করে লেখক তার ফলে নিশ্চয়ই বিপন্ন বোধ করেছেন৷ মানুষের হাত থেকে যদি কলম কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে হাতের লেখা চিরকালের জন্য মুছে যাওয়ার কথা লেখক ভেবেছেন৷ কম্পিউটারের বিশ্বব্যাপী প্রভাবে তাই সর্বপ্রকারের কলমের অবলুপ্তি হতে দেখে লেখক আশ্চর্য বোধ করেছে।
3) "কালি নেই কলম নেই বলে আমি মুন্সী"--কথাটির সাধারণ অর্থ কি?বক্তা কেন একথা বলেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম শ্রীপান্থেররচিত প্রবন্ধের এই কথাটির সাধারণ অর্থ হলো--যিনি কম্প্রেশন কেরানি তাদের কাছে কালি--কলম না থাকাটা হাস্যকর ব্যাপার বলে মনে হয়৷
বক্তা দেখুক নিজেরাই এটা সংবাদপত্রের অফিসে লেখালেখির কাজে চাকরি করেন|বিখুকের সেখানে তার লেখালেখি একমাত্র কাজ একদিন যদি কোনো কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই কারোও কাছে কোন কলম পাওয়া যায় না৷যদি লেখক কারো কাছে কলম পায় তাহলে গলা শুকানো ভোতা মুখে একখানা কলম জুটে সেই কলম দিয়ে লিখতে কোন সুখ নেই,তা দিয়ে লেখা গেলেও পেষণ যাদের পেশা তাদের কাছে কলমের এরকম ব্যবহার দেখে লেখক এমন মন্তব্যটি করেছেন৷
অথবা
"কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে।
আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷
ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছোটো সাজিয়ে রেখেছিলেন|ভিড়ে ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফলে মহিলারা যাত্রী থেকে নামছেন মহিলাদের মাথায় খোঁপাতেও কলম গুজে রাখতে দেখা গিয়েছিল।'বিস্ফোরণ!কলম বিস্ফোরণ।'কলম একসময় সর্বভোগ্য এবং সার্বজনীন হয়ে উঠেছিল|সত্যি বলতে কলম এখন এতই সস্তা সর্বভোগ্য হয়ে গিয়েছে পকেটমারেরাও এখন আর কলম নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না।লেখক এখন কলমকেই অস্পৃশ্য বলে মনে করেছে|
2)আশ্চর্য সবাই আজ অবলুপ্তির পথে|"--লেখকের আশ্চর্য হওয়ার কারণ কি বুঝিয়ে দাও?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম রচনা লেখ নিখিল সরকার আধুনিককালের কাল প্রবাহের কারণে কলম কিভাবে অগ্রগতি হতে চলেছে সে বিষয়ে লেখক বিশ্ময়
প্রকাশ করেছে|
শৈশবকাল থেকেই লেখক শিক্ষাজীবনে গভীর সূচনা লাভ করেছিলেন বাঁশের কলম,লেখার জন্য কলাপাতা আর হাতের বানানো কালি ছিল৷কিন্তু সভ্যতা পরিবর্তনের ফলে খাগের কলম,কলাপাতা,পালকের কলম, দোয়াত কালি ইত্যাদি সরিয়ে বাজারে চলে আসে ফাউন্টেন পেন৷কলমের বাজারে এই পেন আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে৷ফাউন্টেন পেনকেও সরিয়ে দিয়ে বাজারে আসতে চলেছে বল পেন|কলমের দাম এখন সস্তা এবং এতই সর্বভোগ্য হয়ে গেছে কলম সার্বজনীন হওয়ার ফলে তার নিজস্ব কদর হারাতে চলেছে৷একদিন যে দোয়াত কলম দিয়ে লিখে দেশ-বিদেশের সাহিত্যিকরা অমর সৃষ্টি রেখে দিয়ে চলে গিয়েছেন,সেই দোয়াতের কলম আজকাল ইতিহাসের পাতা থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য চলে গিয়েছে,বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সৃষ্টির জায়গা দখল করে নিয়েছে কম্পিউটার তাদের জাদুঘরের পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন৷বাঁশের কলম,খাগের কলম ছেড়ে আধুনিক বল পেনের হাতে আত্মসমর্পণ করে লেখক তার ফলে নিশ্চয়ই বিপন্ন বোধ করেছেন৷ মানুষের হাত থেকে যদি কলম কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে হাতের লেখা চিরকালের জন্য মুছে যাওয়ার কথা লেখক ভেবেছেন৷ কম্পিউটারের বিশ্বব্যাপী প্রভাবে তাই সর্বপ্রকারের কলমের অবলুপ্তি হতে দেখে লেখক আশ্চর্য বোধ করেছে।
3) "কালি নেই কলম নেই বলে আমি মুন্সী"--কথাটির সাধারণ অর্থ কি?বক্তা কেন একথা বলেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম শ্রীপান্থেররচিত প্রবন্ধের এই কথাটির সাধারণ অর্থ হলো--যিনি কম্প্রেশন কেরানি তাদের কাছে কালি--কলম না থাকাটা হাস্যকর ব্যাপার বলে মনে হয়৷
বক্তা দেখুক নিজেরাই এটা সংবাদপত্রের অফিসে লেখালেখির কাজে চাকরি করেন|বিখুকের সেখানে তার লেখালেখি একমাত্র কাজ একদিন যদি কোনো কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই কারোও কাছে কোন কলম পাওয়া যায় না৷যদি লেখক কারো কাছে কলম পায় তাহলে গলা শুকানো ভোতা মুখে একখানা কলম জুটে সেই কলম দিয়ে লিখতে কোন সুখ নেই,তা দিয়ে লেখা গেলেও পেষণ যাদের পেশা তাদের কাছে কলমের এরকম ব্যবহার দেখে লেখক এমন মন্তব্যটি করেছেন৷
Comments
Post a Comment