Skip to main content

Bengali (Class-X),তৃতীয় অধ্যায়,part-3,নম্বর-০৩

1)"আমাদের পথ নেই কোনো"--এখানে কোন পথের কথা বলা হয়েছে?পথ না থাকার কথা বুঝিয়ে দাও?
উত্তর:আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে৷সাম্রাজ্যবাদী ভোগবিলাসী মানুষদের হিংসা-অশান্তিতে যে সাধারণ মানুষের জীবনপথের মন্থর হয়েছে তার কথাই কবি তুলে ধরতে চেয়েছেন।
সমাজের চলেছে অরাজক পরিস্থিতিতে৷ এখানে মানুষের কাছে ক্রমশ চলার পথ হারিয়ে যাচ্ছে৷ যার প্রভাবে সাধারণ মানুষ স্বভাব সামাজিক, অর্থনীতি, রাজনৈতিক শোষণের শিকার হয়েছে৷ এই বিপন্ন মানুষদের চলার পথ রুদ্ধ ডানদিকে ধবস আর বাড়ি বায়ে রয়েছে গিরিখাত|মাথার উপরে বোমারুর রয়েছে আর পায়ের নিচে হিমানীর বাঁধ|পা পিছলে পড়ে নিচে নেমে আসলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে। তাই কবি যথার্থই বলেছেন বিপন্ন মানুষের অগ্রগতির পথ নেই,বেঁচে থাকার উপায় নেই সাধারণ মানুষের|

2) "আমাদের ইতিহাস নেই"---ইতিহাস বলতে কী বোঝায়? কথাটি কেন ব্যাখ্যা করেছেন?
উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কবি হলেন শঙ্খ ঘোষ লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
ইতিহাস আসলে জাতির আত্মবিকাশের গৌরবরময় কাহানির মধ্যে ফুটে উঠেছে|ইতিহাস হল অতীত দিনের কথা যা বর্তমানে না থাকলেও বর্তমানকে চিন্তন করতে সাহায্য করে|যার মধ্য দিয়ে কোন জাতির বা সভ্যতা বিকাশের পর্যায়গুলি প্রকাশ পায়৷

ক্ষমতাশালীরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো গড়ে তুলেছেন|কবি শঙ্খ ঘোষ তার আলোচনা ইতিহাস নেই অর্থে বোঝাতে চেয়েছেন যে সাধারণ মানুষের দুঃখ -দুর্দশার কথা ইতিহাসের পাতায় তাদের কোন অধিকার নেই|সাধারণ মানুষেরা অন্যের ইতিহাস চাপিয়ে দেওয়াকেই নিজের ইতিহাস বলে গ্রহণ করে নিয়েছে,সে ইতিহাসে প্রকৃত সত্য আড়াল করে থাকে|তাই কবি সত্য কথাটি আক্ষেপের সুরেই বলে উঠেছেন তিনি|

3) 'এ মুহূর্তে মরে যাব না কি'?--এই সংশয় প্রকাশ করেছেন?কবির এই ভাবনার কারনটি আলোচনা করো?
উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতার কবি হলেন শঙ্খ ঘোসের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে|
অত্যাচারী সম্রাজবিলাসী মানুষেরা যুদ্ধবিধ্বস্ত সমাজ ব্যবস্থাকে শোষণ করে যে সকল নিপীড়ন মানুষ তাদের আশঙ্কায় কবি উক্ত প্রকাশ করেছেন৷

বিশ্বজুড়ে ধ্বংসের কারণে সমাজ ব্যবস্থা হিংসা-শাসন-শোষন-যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষ নানাভাবে বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠেছে|সমাজের বহু নিরপরাধ মানুষের প্রাণ অকালে চলে গেছে, পড়ে আছে কত শিশুর শব|পৃথিবীতে যারা বেঁচে আছে তারাও যে কোনো মুহূর্তে মরে যেতে পারে,বেঁচে থাকা নিয়ে কবির মনে তাই সংশয় দেখা দিয়েছে৷

4)"আমাদের চোখ মুখ ঢাকা/আমরা ভিখারি বারো মাস"--চোখ মুখ ঢাকা কথাটির মন্তব্যবুঝিয়ে দাও?
উত্তর:"আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি" কবিতার কবি শঙ্খ ঘোষ জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত|

কবি এখানে ইতিহাসের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন।দেশ কিংবা জাতির বিকাশের অত্যাচারী ইতিহাসের শাসক বা ক্ষমতাসীনদের দ্বারা ইচ্ছাকৃত বিকৃত হয়৷
নিজেদের ইতিহাসে ভুলে অন্যের চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে গ্রহণ করে এই বেঁচে থাকার আড়ালে রয়েছে ভিখারিবৃত্তি জীবন কাটানোর অভ্যাস হয়ে যাবার নিজেদের ইতিহাস সন্ধানটুকু ও আমরা খুঁজে পাইনি।কবি কটাক্ষ করেই উদ্ধৃতিটি করেছেন।

Comments

Popular posts from this blog

Bengali(Class--X),চতুর্থ অধ্যায়, Part--2,নম্বর-০১

1)ফাউন্টেন পেনের নামটা বাংলায় রবীন্দ্রনাথ কি দিয়েছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেন বাংলা নামটা রবীন্দ্রনাথ ঝরনা কলম রেখে দিয়েছিলেন৷ 2)ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার কে ছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার হলেন লুইস অ্যান্ডসন ওয়াটারম্যান| 3)কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটা নামী দোকানে লেখক কি কিনতে গিয়েছিলেন? উত্তর:কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটি নামি দোকানে লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিল৷ 4)প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কি ছিল? উত্তর:প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন| 5)'তাদের বাহারি সব নাম'--নাম কি? উত্তর:বাহারি সব নাম হল সুলেখা কালি| 6)ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে  সরিয়ে দিয়েছিল? উত্তর:দোয়াত আর কলম ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে দিয়েছিল ৷ 7)লেখক কার কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন? উত্তর:লেখক সুভাে ঠাকুরের কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন। 8) লেখকের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল? উত্তর:লেখকের শৈশবে লেখার পাত বলতে ছিল।কাগজাকৃতি তাতেই লেখকরা হোমটাক্স করতেন| 9)লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কি করতেন বলেছেন? উত্তর:লেখকের জন্ম হলে নীল নদীর তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙ্গে নিয়ে কলম হিসেবে ব্যবহা...

Bengali (Class--X), Part--3,-০৫

1)"ভিড়ের ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফল"--যাতায়াতের সম্বন্ধে যা জানো আলোচনা করো?               অথবা "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন? উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে। আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷ ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছো...

Bengali(Class--X),তৃতীয় অধ্যায়, Part-02,নম্বর--০১

1) "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি৷"--বক্তার কখন এমন মনে হয়? উত্তর:বক্তা যখন হিংসার মধ্যে পৃথিবীতে বোমারু বিমানের হানায় যখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুরভয় তাড়া করে,সেই বিপন্ন সময় এবং তার এমন মনে হয়| 2)কবিতায় কথকের ডানপাশে কিসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতার কথকের ডানপাশে ধ্বসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে| 3) কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে কী দেখেছেন ? উত্তর:কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে গভীর গিরিখাত দেখেছেন| 4)'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কবি পায়ে পায়ে কিসের সংখ্যা ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানী বাধ| 5) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতাটি কার লেখা,কোন কাব্যের অন্তর্গত ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যের অন্তর্গত। 6)শিশুদের সব যেখানে--সেখানে ছড়ানো আছে কেন? উত্তর:যুদ্ধে দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষের সর্বস্ব হারিয়েছে সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে-কাছে দূরে শিশুদের 7) 'আমাদের মাথায় বোমারু'--বোমারু কথার অর্থ কি? উত্তর:বোমা...