1"আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।"--লেখকরা কিভাবে কালি তৈরি করতেন সেই প্রবন্ধটি আলোচনা করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'গল্পের লেখক নিখিল সরকারের মূল ভূমিকা 'শ্রীপান্থ'রচনাটি উদ্ধৃতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে৷'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধে লেখকের ছেলেবেলায় কালি তৈরি নিয়ে প্রচলিত ছড়ার কথা উল্লেখ করেছেন৷প্রাচীনকালে বলতেন--'তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা/ছাগ দুগ্ধ করি মেলা/লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি/ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি|'এই ছড়ার তিল,ত্রিফলা সিমুল গাছের ছাল,ছাগলের দুধ ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণের কথা উল্লেখ করেছেন|উপকরণ জোগাড় করে কালি তৈরি করা খুব সহজ কাজ ছিল না তাই লেখ জন্য সহজ পথ ধরেন|
লেখকের বাড়ি রান্না হতো কাঠের উনুনে।তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত৷লাউ পাতা দিয়ে তার ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলের তা গুলি নিতে হত৷যারা কালি বানাতে ওস্তাদ তারা ওই কালো জলে হরিতকী ঘষতে|কখনো কখনো মাকে দিয়ে আতপ চাল ভেঙ্গে পুড়িয়ে তা এবং বেটে ওতে মিশানো হতো|সব ভালো করে মেশাবার পর একটা খুন্তির গোড়ার দিকটা পুড়িয়ে লাল রং করে সেই জলে ছ্যাকা দেওয়া হতো।অল্প জল তো অনেক সময় টগবগ করে ফুটত।তারপর ন্যাকড়ায় থেকে দোয়াতে ঢেলে কালি|মাটির দোয়াতে ভরে নিলেই তৈরি হয়ে যেত কালি।
2)"আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা"--বক্তার প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় আলোচনা করো?
অথবা
"দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা।"--ঘটনাটির পরিচয় আলোচনা করো?
অথবা
"এককালে বাংলায় তাকেই বলা হত ঝরনা কলম"--'তাকে'বলতে কী বোঝানো হয়েছে?ঝর্ণা কলমের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম হল ঝরনা কলম|
এক কালে ফাউন্টেন পেন কে বাংলায় বলা হত ঝরনা কলম|ঝরনা কলম নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে শ্রীপান্থ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে৷কলমের দুনিয়ায় কনটেন্ট সত্তিকারের বিপ্লব ইতিহাসের পাতায় বিস্ময়কর হয়ে রয়েছে।লুইস এডসন ওয়াটারম্যান এই তিনটি আবিষ্কার করেছিলেন|তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন৷একদিন একজন ব্যবসায়ী সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়ে দলিলে কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় হঠাৎ উপুড় হয়ে কাগজে পড়ে গেল৷ইতিমধ্যেই আরেকজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ সঙ্গে করে চুক্তিপত্র পাকা করে চলে গেলেন|এই ঘটনায় বিমর্ষ হন ওয়াটারম্যান এবং মনে মনে কলম তৈরি করার প্রতিজ্ঞা করেন।এই প্রতিজ্ঞার ফলে ফাউন্টেন পেনের জন্ম হয়।
ফৌন্টেন পেন লেখককে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে৷দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ বেশ কয়েক বছর পর কলকাতায় কলেজ স্ট্রিটে এখন আমি দোকানে লেখক গিয়েছিলেন ফাউন্টেন পেন কিনবে বলে|প্যান্ট কিনতে গিয়ে দোকানদার লেখককে পার্কার ,শেফার্ড,পাইলট প্রভৃতি এর নাম ওপেন গুলি দামের কথা বলে দেন|লেখকের মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে দোকানদার কমদামি জাপানি পাইলট কলম মুখটা সরিয়ে ধাঁ করে কলমটা ছুড়ে দিলেন টেবিলের এক পামন্তব্যটি তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর কে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করোশে দাঁড় করানো একটা খাঠের উপর।এই ঘটনাকে লেখক সার্কাসের খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
3)"কলম কে বলা হয় তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধর"---প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটির তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধরের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ঠাট্টা ছলে কথাটি উল্লেখ করেছেন৷শক্তিধর আক্ষরিক অর্থ হলো বন্দুকের চেয়ে জোর বেশি|
ফাউন্টেন পেনের হয়তো আভাসে ইঙ্গিেতে তাই বলতে চায়|কারণ ফাউন্টেন পেনের অংশ 'ব্যারেল'কার্টিজ এসব শব্দ শোনা যায়|এগুলির সঙ্গে কিন্তু গোলা বারুদের গন্ধ কানে পৌঁছায়|একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে--'অসির চেয়ে মসি বড়ো'৷ইতিহাসে কিন্তু অনেক পালকের কলমধারী সত্যকে কখনো তলোয়ার হাতে লড়াই করতে হয়েছে ক্রুর কিংবা মিথ্যাচার প্রতিপক্ষের সঙ্গে|তেমনি কোন মিথ্যাচার, স্বৈরাচার,সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একমাত্র অস্ত্র হলো লেখকের হাতের লেখনি|অস্ত্র যেমন আঘাত হানে দেহে,তেমনি কলম আঘাত হানে চেতনায়|
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'গল্পের লেখক নিখিল সরকারের মূল ভূমিকা 'শ্রীপান্থ'রচনাটি উদ্ধৃতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে৷'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধে লেখকের ছেলেবেলায় কালি তৈরি নিয়ে প্রচলিত ছড়ার কথা উল্লেখ করেছেন৷প্রাচীনকালে বলতেন--'তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা/ছাগ দুগ্ধ করি মেলা/লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি/ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি|'এই ছড়ার তিল,ত্রিফলা সিমুল গাছের ছাল,ছাগলের দুধ ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণের কথা উল্লেখ করেছেন|উপকরণ জোগাড় করে কালি তৈরি করা খুব সহজ কাজ ছিল না তাই লেখ জন্য সহজ পথ ধরেন|
লেখকের বাড়ি রান্না হতো কাঠের উনুনে।তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত৷লাউ পাতা দিয়ে তার ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলের তা গুলি নিতে হত৷যারা কালি বানাতে ওস্তাদ তারা ওই কালো জলে হরিতকী ঘষতে|কখনো কখনো মাকে দিয়ে আতপ চাল ভেঙ্গে পুড়িয়ে তা এবং বেটে ওতে মিশানো হতো|সব ভালো করে মেশাবার পর একটা খুন্তির গোড়ার দিকটা পুড়িয়ে লাল রং করে সেই জলে ছ্যাকা দেওয়া হতো।অল্প জল তো অনেক সময় টগবগ করে ফুটত।তারপর ন্যাকড়ায় থেকে দোয়াতে ঢেলে কালি|মাটির দোয়াতে ভরে নিলেই তৈরি হয়ে যেত কালি।
2)"আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা"--বক্তার প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় আলোচনা করো?
অথবা
"দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা।"--ঘটনাটির পরিচয় আলোচনা করো?
অথবা
"এককালে বাংলায় তাকেই বলা হত ঝরনা কলম"--'তাকে'বলতে কী বোঝানো হয়েছে?ঝর্ণা কলমের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম হল ঝরনা কলম|
এক কালে ফাউন্টেন পেন কে বাংলায় বলা হত ঝরনা কলম|ঝরনা কলম নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে শ্রীপান্থ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে৷কলমের দুনিয়ায় কনটেন্ট সত্তিকারের বিপ্লব ইতিহাসের পাতায় বিস্ময়কর হয়ে রয়েছে।লুইস এডসন ওয়াটারম্যান এই তিনটি আবিষ্কার করেছিলেন|তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন৷একদিন একজন ব্যবসায়ী সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়ে দলিলে কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় হঠাৎ উপুড় হয়ে কাগজে পড়ে গেল৷ইতিমধ্যেই আরেকজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ সঙ্গে করে চুক্তিপত্র পাকা করে চলে গেলেন|এই ঘটনায় বিমর্ষ হন ওয়াটারম্যান এবং মনে মনে কলম তৈরি করার প্রতিজ্ঞা করেন।এই প্রতিজ্ঞার ফলে ফাউন্টেন পেনের জন্ম হয়।
ফৌন্টেন পেন লেখককে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে৷দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ বেশ কয়েক বছর পর কলকাতায় কলেজ স্ট্রিটে এখন আমি দোকানে লেখক গিয়েছিলেন ফাউন্টেন পেন কিনবে বলে|প্যান্ট কিনতে গিয়ে দোকানদার লেখককে পার্কার ,শেফার্ড,পাইলট প্রভৃতি এর নাম ওপেন গুলি দামের কথা বলে দেন|লেখকের মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে দোকানদার কমদামি জাপানি পাইলট কলম মুখটা সরিয়ে ধাঁ করে কলমটা ছুড়ে দিলেন টেবিলের এক পামন্তব্যটি তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর কে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করোশে দাঁড় করানো একটা খাঠের উপর।এই ঘটনাকে লেখক সার্কাসের খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
3)"কলম কে বলা হয় তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধর"---প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটির তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধরের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ঠাট্টা ছলে কথাটি উল্লেখ করেছেন৷শক্তিধর আক্ষরিক অর্থ হলো বন্দুকের চেয়ে জোর বেশি|
ফাউন্টেন পেনের হয়তো আভাসে ইঙ্গিেতে তাই বলতে চায়|কারণ ফাউন্টেন পেনের অংশ 'ব্যারেল'কার্টিজ এসব শব্দ শোনা যায়|এগুলির সঙ্গে কিন্তু গোলা বারুদের গন্ধ কানে পৌঁছায়|একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে--'অসির চেয়ে মসি বড়ো'৷ইতিহাসে কিন্তু অনেক পালকের কলমধারী সত্যকে কখনো তলোয়ার হাতে লড়াই করতে হয়েছে ক্রুর কিংবা মিথ্যাচার প্রতিপক্ষের সঙ্গে|তেমনি কোন মিথ্যাচার, স্বৈরাচার,সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একমাত্র অস্ত্র হলো লেখকের হাতের লেখনি|অস্ত্র যেমন আঘাত হানে দেহে,তেমনি কলম আঘাত হানে চেতনায়|
Comments
Post a Comment