Skip to main content

Bengali(Class--X),চতুর্থ অধ্যায়,Part--04,নম্বর-০৫

1"আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।"--লেখকরা কিভাবে কালি তৈরি করতেন সেই প্রবন্ধটি আলোচনা করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'গল্পের লেখক নিখিল সরকারের মূল ভূমিকা 'শ্রীপান্থ'রচনাটি উদ্ধৃতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে৷'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধে লেখকের ছেলেবেলায় কালি তৈরি নিয়ে প্রচলিত ছড়ার কথা উল্লেখ করেছেন৷প্রাচীনকালে বলতেন--'তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা/ছাগ দুগ্ধ করি মেলা/লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি/ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি|'এই ছড়ার তিল,ত্রিফলা সিমুল গাছের ছাল,ছাগলের দুধ ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণের কথা উল্লেখ করেছেন|উপকরণ জোগাড় করে কালি তৈরি করা খুব সহজ কাজ ছিল না তাই লেখ জন্য সহজ পথ ধরেন|

লেখকের বাড়ি রান্না হতো কাঠের উনুনে।তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত৷লাউ পাতা দিয়ে তার ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলের তা গুলি নিতে হত৷যারা কালি বানাতে ওস্তাদ তারা ওই কালো জলে হরিতকী ঘষতে|কখনো কখনো মাকে দিয়ে আতপ চাল ভেঙ্গে পুড়িয়ে তা এবং বেটে ওতে মিশানো হতো|সব ভালো করে মেশাবার পর একটা খুন্তির গোড়ার দিকটা পুড়িয়ে লাল রং করে সেই জলে  ছ্যাকা দেওয়া হতো।অল্প জল তো অনেক সময় টগবগ করে ফুটত।তারপর ন্যাকড়ায় থেকে দোয়াতে ঢেলে কালি|মাটির দোয়াতে ভরে নিলেই তৈরি হয়ে যেত কালি।

2)"আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা"--বক্তার প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় আলোচনা করো?
                               অথবা
"দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা।"--ঘটনাটির পরিচয় আলোচনা করো?
                              অথবা
"এককালে বাংলায় তাকেই বলা হত ঝরনা কলম"--'তাকে'বলতে কী বোঝানো হয়েছে?ঝর্ণা কলমের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম হল ঝরনা কলম|

এক কালে ফাউন্টেন পেন কে বাংলায় বলা হত ঝরনা কলম|ঝরনা কলম নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে শ্রীপান্থ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে৷কলমের দুনিয়ায় কনটেন্ট সত্তিকারের বিপ্লব ইতিহাসের পাতায় বিস্ময়কর হয়ে রয়েছে।লুইস এডসন ওয়াটারম্যান এই তিনটি আবিষ্কার করেছিলেন|তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন৷একদিন একজন ব্যবসায়ী সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়ে দলিলে কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় হঠাৎ উপুড় হয়ে কাগজে পড়ে গেল৷ইতিমধ্যেই আরেকজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ সঙ্গে করে চুক্তিপত্র পাকা করে চলে গেলেন|এই ঘটনায় বিমর্ষ হন ওয়াটারম্যান এবং মনে মনে কলম তৈরি করার প্রতিজ্ঞা করেন।এই প্রতিজ্ঞার ফলে ফাউন্টেন পেনের জন্ম হয়।

ফৌন্টেন পেন লেখককে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে৷দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ বেশ কয়েক বছর পর কলকাতায় কলেজ স্ট্রিটে এখন আমি দোকানে লেখক গিয়েছিলেন ফাউন্টেন পেন কিনবে বলে|প্যান্ট কিনতে গিয়ে দোকানদার লেখককে পার্কার ,শেফার্ড,পাইলট প্রভৃতি এর নাম ওপেন গুলি দামের কথা বলে দেন|লেখকের মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে দোকানদার কমদামি জাপানি পাইলট কলম মুখটা সরিয়ে ধাঁ করে কলমটা ছুড়ে দিলেন টেবিলের এক পামন্তব্যটি তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর কে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করোশে দাঁড় করানো একটা খাঠের উপর।এই ঘটনাকে লেখক সার্কাসের খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

3)"কলম কে বলা হয় তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধর"---প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটির তলোয়ারের চেয়ে শক্তিধরের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?
উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ঠাট্টা ছলে কথাটি উল্লেখ করেছেন৷শক্তিধর আক্ষরিক অর্থ হলো বন্দুকের চেয়ে জোর বেশি|
ফাউন্টেন পেনের হয়তো আভাসে ইঙ্গিেতে তাই বলতে চায়|কারণ ফাউন্টেন পেনের অংশ 'ব্যারেল'কার্টিজ এসব শব্দ শোনা যায়|এগুলির সঙ্গে কিন্তু গোলা বারুদের গন্ধ কানে পৌঁছায়|একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে--'অসির চেয়ে মসি বড়ো'৷ইতিহাসে কিন্তু অনেক পালকের কলমধারী সত্যকে কখনো তলোয়ার হাতে লড়াই করতে হয়েছে ক্রুর কিংবা মিথ্যাচার প্রতিপক্ষের সঙ্গে|তেমনি কোন মিথ্যাচার, স্বৈরাচার,সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একমাত্র অস্ত্র হলো লেখকের হাতের লেখনি|অস্ত্র যেমন আঘাত হানে দেহে,তেমনি কলম আঘাত হানে চেতনায়|


Comments

Popular posts from this blog

Bengali(Class--X),চতুর্থ অধ্যায়, Part--2,নম্বর-০১

1)ফাউন্টেন পেনের নামটা বাংলায় রবীন্দ্রনাথ কি দিয়েছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেন বাংলা নামটা রবীন্দ্রনাথ ঝরনা কলম রেখে দিয়েছিলেন৷ 2)ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার কে ছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার হলেন লুইস অ্যান্ডসন ওয়াটারম্যান| 3)কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটা নামী দোকানে লেখক কি কিনতে গিয়েছিলেন? উত্তর:কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটি নামি দোকানে লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিল৷ 4)প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কি ছিল? উত্তর:প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন| 5)'তাদের বাহারি সব নাম'--নাম কি? উত্তর:বাহারি সব নাম হল সুলেখা কালি| 6)ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে  সরিয়ে দিয়েছিল? উত্তর:দোয়াত আর কলম ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে দিয়েছিল ৷ 7)লেখক কার কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন? উত্তর:লেখক সুভাে ঠাকুরের কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন। 8) লেখকের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল? উত্তর:লেখকের শৈশবে লেখার পাত বলতে ছিল।কাগজাকৃতি তাতেই লেখকরা হোমটাক্স করতেন| 9)লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কি করতেন বলেছেন? উত্তর:লেখকের জন্ম হলে নীল নদীর তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙ্গে নিয়ে কলম হিসেবে ব্যবহা...

Bengali (Class--X), Part--3,-০৫

1)"ভিড়ের ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফল"--যাতায়াতের সম্বন্ধে যা জানো আলোচনা করো?               অথবা "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন? উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে। আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷ ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছো...

Bengali(Class--X),তৃতীয় অধ্যায়, Part-02,নম্বর--০১

1) "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি৷"--বক্তার কখন এমন মনে হয়? উত্তর:বক্তা যখন হিংসার মধ্যে পৃথিবীতে বোমারু বিমানের হানায় যখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুরভয় তাড়া করে,সেই বিপন্ন সময় এবং তার এমন মনে হয়| 2)কবিতায় কথকের ডানপাশে কিসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতার কথকের ডানপাশে ধ্বসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে| 3) কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে কী দেখেছেন ? উত্তর:কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে গভীর গিরিখাত দেখেছেন| 4)'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কবি পায়ে পায়ে কিসের সংখ্যা ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানী বাধ| 5) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতাটি কার লেখা,কোন কাব্যের অন্তর্গত ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যের অন্তর্গত। 6)শিশুদের সব যেখানে--সেখানে ছড়ানো আছে কেন? উত্তর:যুদ্ধে দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষের সর্বস্ব হারিয়েছে সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে-কাছে দূরে শিশুদের 7) 'আমাদের মাথায় বোমারু'--বোমারু কথার অর্থ কি? উত্তর:বোমা...