Skip to main content

Bengal(class-x) প্রথম অধ্যায়, part--5 নম্বর:3

1)"কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল"---কোন কথা শুনে গেল?'মার্বেল হয়ে গেল'কথাটি কি অর্থে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর:তপনের ছোট মাসি যার সঙ্গে বিয়ে হয়,সেই নাকি বই লেখেন৷মেসোর অনেক বই ছাপানো হয়েছে।তপনের  মেসোমশাই একজন সত্তিকারের লেখক|জলজ্যান্ত লেখককে এত কাছ থেকে দেখা যায় তপন এতদিন  জানত না৷মেসোমশাই একজন লেখক,কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল|
"মার্বেল হয়ে গেল কথাটির অর্থ হল অবাক হওয়া বলা হয়েছে৷
2)"পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে?"কোন বিষয়কে 'আলৌকিক' ঘটনা বলা হয়েছে?
                            অথবা
"এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা|"কোন ঘটনা?
                            অথবা
"বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের|"
তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে কেন?
উত্তর:তপনের লেখা গল্প তার মেসো লেখক পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷মেসোর হাতে
 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে|তবে কি সত্যি গল্প ছাপা হয়েছে এবং পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘুরবে?তপনের কাছে এটা একটা অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছে৷
3)"শুধু এই দুঃখের মুহূর্তের গভীরভাবে সংকল্প করে তপন|"--তপন কি সংকল্প করে?
উত্তর:আলোচ্য অংশটি:জ্ঞানচক্ষু গল্পের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে৷


তপনের গল্প লেখা 'সন্ধ্যাতারায়'পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তপন দুঃখে আহত হয় এবং অপমানিত বোধ করে৷কারণ তার গল্পটিকে মেসোমশাই আগাগোড়া কারেকশান করে দিয়েছে৷ নিজের লেখা গল্প পড়তে পড়তে তপনের মনে হয়েছে ,সে যেন অন্যের গল্প পড়ছে ৷তখন গল্প পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়৷সে মনে মনে সংকল্প করে যদি কোন লেখা ছাপতে দেয়,তাহলে সে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে৷

4)"রত্নের মূল্য জহুরী কাছে"--রত্ন ও জহুরী কি?উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও?
                                                  অথবা
"লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসো বুঝবে",এ কোথা কার কেন মনে হয়েছিল?
উত্তর:জ্ঞানচক্ষু গল্পের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর রত্ন বলতে তপনের প্রথম দিন গল্প কী বোঝানো হয়েছে এবং জহুরী বলতে জহর বা রত্ন চেনেন যিনি  তাকেই বোঝায়৷ তাই এখানে জহুরি বলতে তপনের লেখক মেসোমশায়ের কথা বলা হয়েছে৷

ছোটবেলা থেকেই তপনের মনের মধ্যে বাসনা ছিল লেখককে চোখে দেখার৷কারণ তপন ভাবত লেখকরা অসাধারণ মানুষ,তারা অন্য জগতের মানুষ কিন্তু তখন নতুন মেসোমশাইকে দেখে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটমামা বা মেজােকাকুর মতাে মানুষ হয়৷ তপন উপলব্ধি করে যে আস্ত একটি ছোটগল্প লিখে ফেলেন|তপন গল্পটি ছোটমাসি মেসোমশাইকে দেখালে লজ্জা বোধ করে কিন্তু তিনি মনে মনে চেয়েছিল যেন গল্পটি তার মেসোমশাই দেখুক|গল্পের মূল্য তার মেসোমশাই বুঝবেন|রত্নের আসল মূল্য জহুরী কাছেই৷

Comments

Popular posts from this blog

Bengali(Class--X),চতুর্থ অধ্যায়, Part--2,নম্বর-০১

1)ফাউন্টেন পেনের নামটা বাংলায় রবীন্দ্রনাথ কি দিয়েছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেন বাংলা নামটা রবীন্দ্রনাথ ঝরনা কলম রেখে দিয়েছিলেন৷ 2)ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার কে ছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার হলেন লুইস অ্যান্ডসন ওয়াটারম্যান| 3)কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটা নামী দোকানে লেখক কি কিনতে গিয়েছিলেন? উত্তর:কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটি নামি দোকানে লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিল৷ 4)প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কি ছিল? উত্তর:প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন| 5)'তাদের বাহারি সব নাম'--নাম কি? উত্তর:বাহারি সব নাম হল সুলেখা কালি| 6)ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে  সরিয়ে দিয়েছিল? উত্তর:দোয়াত আর কলম ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে দিয়েছিল ৷ 7)লেখক কার কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন? উত্তর:লেখক সুভাে ঠাকুরের কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন। 8) লেখকের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল? উত্তর:লেখকের শৈশবে লেখার পাত বলতে ছিল।কাগজাকৃতি তাতেই লেখকরা হোমটাক্স করতেন| 9)লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কি করতেন বলেছেন? উত্তর:লেখকের জন্ম হলে নীল নদীর তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙ্গে নিয়ে কলম হিসেবে ব্যবহা...

Bengali (Class--X), Part--3,-০৫

1)"ভিড়ের ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফল"--যাতায়াতের সম্বন্ধে যা জানো আলোচনা করো?               অথবা "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন? উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে। আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷ ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছো...

Bengali(Class--X),তৃতীয় অধ্যায়, Part-02,নম্বর--০১

1) "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি৷"--বক্তার কখন এমন মনে হয়? উত্তর:বক্তা যখন হিংসার মধ্যে পৃথিবীতে বোমারু বিমানের হানায় যখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুরভয় তাড়া করে,সেই বিপন্ন সময় এবং তার এমন মনে হয়| 2)কবিতায় কথকের ডানপাশে কিসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতার কথকের ডানপাশে ধ্বসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে| 3) কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে কী দেখেছেন ? উত্তর:কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে গভীর গিরিখাত দেখেছেন| 4)'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কবি পায়ে পায়ে কিসের সংখ্যা ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানী বাধ| 5) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতাটি কার লেখা,কোন কাব্যের অন্তর্গত ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যের অন্তর্গত। 6)শিশুদের সব যেখানে--সেখানে ছড়ানো আছে কেন? উত্তর:যুদ্ধে দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষের সর্বস্ব হারিয়েছে সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে-কাছে দূরে শিশুদের 7) 'আমাদের মাথায় বোমারু'--বোমারু কথার অর্থ কি? উত্তর:বোমা...