Skip to main content

Bengali(Class-X) প্রথম অধ্যায় Part--6 নম্বর-০৩

1)'মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা'---কোন কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে?
                                  অথবা
'তোমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেব৷'--বক্তা কে? বক্তার কোন মনোভাবকে প্রকাশ করেছেন?
                                  অথবা
'একটু কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে'---বক্তা কে?এই রকম উক্তির কারণ কি?
উত্তর:বক্তা হলেন তপনের নতুন ছোটমেসোমশায়৷
জ্ঞানচক্ষু গল্পের লেখিকা হলেন আশাপূর্ণা দেবী ছোট মাসির বিয়েতে এসে তপন স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথম দিন গল্পটি চুপিচুপি লিখে ফেলেন।তপনের গল্প লেখা পড়ে ছোটমেসো তাকে উৎসাহ দেন ও বলেন--'তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।একটু কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে  দেওয়া  চলে।'এই কথা শুনেই ছোটমাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার জন্য ছোটমেসোকে অনুরোধ জানালেন|সে কাজটি হল মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে|

2)'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই,তার থেকে অপমানের'---তার থেকে অপমানের বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
                                  অথবা
'তপনকে যেন  আর কখনো শুনতে না হয়"---কি না শোনার কথা বলা হয়েছে?
                                    অথবা
'শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন'--দুঃখের মুহূর্ত কি?তপন কি গভীর সংকল্প করেছিল?
উত্তর:জ্ঞানচক্ষু গল্পের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী তপনের গল্পটি ছোটমেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ায় তপন প্রথমে আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায় এবং সে মনে করেছিল আজকে তার সবচেয়ে সুখের দিন।কিন্তু  পত্রিকায় ছাপানো গল্পটি পড়ে তখন অবাক হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে গল্পটি ছোটমেসো সম্পূর্ণ কারেকশান করে বদলে ফেলেছেন|আত্মসম্মানে আহত তপন সংকল্প করে--"যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো নিজে গিয়ে দেবে।--ছাপা হয় হোক, না হয় না হোক।"
3)'জ্ঞানচক্ষু'গল্পের নায়ক তপনের মেসো ছিলেন অনেক বই ছাপানো হয়েছিল। জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারন কি?
উত্তর:জ্ঞানচক্ষু গল্পের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী গল্পের নায়ক হলেন ছোটমেসো শিশুসুলভ মন নিয়ে কল্পনা করত তারা অন্য জগতের লোক।লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ ওদের মতোই দাড়ি কামান,ছোট-মামাদের মতোই খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবলভাবে তার গল্প নিয়ে তর্ক করেন,খাবার খেতে বসে অর্ধেক খাবার খেয়ে উঠে যান।শেষ পর্যন্ত সিনেমা দেখতে চলে যান, বেড়াতে  যেতেও কোনো আপত্তি নেই৷মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারে লেখকেরাও সাধারন মানুষ৷এভাবেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।

Comments

Popular posts from this blog

Bengali(Class--X),চতুর্থ অধ্যায়, Part--2,নম্বর-০১

1)ফাউন্টেন পেনের নামটা বাংলায় রবীন্দ্রনাথ কি দিয়েছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেন বাংলা নামটা রবীন্দ্রনাথ ঝরনা কলম রেখে দিয়েছিলেন৷ 2)ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার কে ছিলেন? উত্তর:ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কার হলেন লুইস অ্যান্ডসন ওয়াটারম্যান| 3)কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটা নামী দোকানে লেখক কি কিনতে গিয়েছিলেন? উত্তর:কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটি নামি দোকানে লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিল৷ 4)প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কি ছিল? উত্তর:প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন| 5)'তাদের বাহারি সব নাম'--নাম কি? উত্তর:বাহারি সব নাম হল সুলেখা কালি| 6)ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে  সরিয়ে দিয়েছিল? উত্তর:দোয়াত আর কলম ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে দিয়েছিল ৷ 7)লেখক কার কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন? উত্তর:লেখক সুভাে ঠাকুরের কাছে সোনার দোয়াত কলম দেখেছিলেন। 8) লেখকের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল? উত্তর:লেখকের শৈশবে লেখার পাত বলতে ছিল।কাগজাকৃতি তাতেই লেখকরা হোমটাক্স করতেন| 9)লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কি করতেন বলেছেন? উত্তর:লেখকের জন্ম হলে নীল নদীর তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙ্গে নিয়ে কলম হিসেবে ব্যবহা...

Bengali (Class--X), Part--3,-০৫

1)"ভিড়ের ট্রামে বাসে যাতায়াতের ফল"--যাতায়াতের সম্বন্ধে যা জানো আলোচনা করো?               অথবা "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য"---কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য?কলম সম্পর্কে মূল ধারণা দিয়েছেন? উত্তর:'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম'রচনা লেখক নিখিল সরকার সময়ের অগ্রগতিরকলামের পরিনতি দেখে তাৎপর্য মন্তব্য করেছে। আধুনিকতার পথে কলম ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে মানুষের হাত থেকে|গ্রামাঞ্চলেও আজ বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পূজার সময়|পালকের পেন হারিয়ে গিয়ে ফাউন্টেন পেন, সস্তার বল পেন বাজারে চলে আসে৷ তাই পকেটমার ও কলম চুরি করতে পারেনা--'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য৷ ছেলেবেলা একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলেন যাঁর কলম ছিল পায়ের মোজার গোঁজা।একসময় মানুষের লেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাঁশের কলম|শৈশবকালে লেখকরা নিজেরাই কলম তৈরি করতে পারতেন|সময়ের অগ্রগতির ফলে বাঁশের কলম উধাও হয়ে গিয়ে চলে এল পালকের কলম|তারপর ফাউনটেন পেন এবং বল পেন বাজার দখল করে ফেলেছিল।ফেরিওয়ালারাও কলম বিক্রি করে পেশা করতেন।অতি আধুনিক ছেলেরা লেখক দেখেছেন কলম বুকপকেটে রাখার পরিবর্তে কাঁধের ছো...

Bengali(Class--X),তৃতীয় অধ্যায়, Part-02,নম্বর--০১

1) "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি৷"--বক্তার কখন এমন মনে হয়? উত্তর:বক্তা যখন হিংসার মধ্যে পৃথিবীতে বোমারু বিমানের হানায় যখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুরভয় তাড়া করে,সেই বিপন্ন সময় এবং তার এমন মনে হয়| 2)কবিতায় কথকের ডানপাশে কিসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতার কথকের ডানপাশে ধ্বসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে| 3) কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে কী দেখেছেন ? উত্তর:কবিতায় কবি তার বাঁ দিকে গভীর গিরিখাত দেখেছেন| 4)'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কবি পায়ে পায়ে কিসের সংখ্যা ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানী বাধ| 5) 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবিতাটি কার লেখা,কোন কাব্যের অন্তর্গত ? উত্তর:'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যের অন্তর্গত। 6)শিশুদের সব যেখানে--সেখানে ছড়ানো আছে কেন? উত্তর:যুদ্ধে দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষের সর্বস্ব হারিয়েছে সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে-কাছে দূরে শিশুদের 7) 'আমাদের মাথায় বোমারু'--বোমারু কথার অর্থ কি? উত্তর:বোমা...